ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বলা হচ্ছে, আজই চলতি মৌসুমে কলকাতার শীতলতম দিন। এই ঠান্ডায় গোসল করেননি অনেকেই। কিন্তু আপনাকে বাসন মাজা থেকে কাপড় কাচা সব কাজই করতে হচ্ছে।
ঠান্ডা পানিতে বাসন মাজা, ঘর মোছা, কাপড় কাচার মতো কাজগুলো ভীষণ কষ্টকর। ঠান্ডায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনই হাতের চামড়াও কুঁচকে যায়। হাতের অবস্থায় বেহাল হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় ঠান্ডা পানির ব্যবহার যত কম করবেন ততই ভালো। তার সঙ্গে কীভাবে হাতের যত্ন নেবেন, রইল টিপস।
ঘরের কাজ থেকে নিস্তার নাই। একা হাতেই যখন সমস্ত কাজ সামলাতে হয়, তখন হাতে গ্লাভস পরে নিন। গ্লাভস পরে বাসন মাজা, জামাকাপড় কাচার কাজ সারুন। এতে একটু হলেও আপনার হাতের চামড়া সুরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি ঠান্ডা পানিও কম ঘাঁটতে হবে।
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীর ও ত্বক হাইড্রেট থাকবে। পাশাপাশি পানির কাজ শেষ করে হাতে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে ভেতর ও বাইরে উভয় দিক থেকে হাইড্রেট থাকা জরুরি।
জামা-কাপড় কাচা কিংবা বাসন মাজার জন্য যে সব ডিটারজেন্ট ব্যবহার হয়, তাতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। এতে হাতের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তাই হাত ধোয়ার সময় হালকা সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় থাকবে এবং হাতের চামড়া শুষ্ক হবে না।
হাতের ওপর মরা চামড়ার আস্তরণ জমে থাকে। মধু বা নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে হাতের উপর ঘষুন। তারপর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এতে হাত নরম ও কোমল থাকবে।
আজকাল অনেকেই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহারের সময় দেখে নিন এতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন বা হাইলিউরনিক অ্যাসিড রয়েছে কিনা। এগুলো আপনার ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করতে সাহায্য করে।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় হাতে হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিন। এরপর সুতির গ্লাভস পরে নিন। পরদিন সকালে আপনার হাত নরম হয়ে উঠবে। রাতারাতি হাতের হাল ফেরাতে এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ